হামজা না থাকলে সমস্যা নেই ক্যাবরেরার, কষ্ট হবে তপুর

হামজা অনিশ্চয়তায়ও নেপাল সফরের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ দল
১৩ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পে সোমবার প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন হয়েছে। বসুন্ধরা কিংসের ১০ ফুটবলার যোগ দেওয়ায় অনুশীলন সম্পূর্ণ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তবে অনুশীলনের চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী।
আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়বে দল। তবে হামজা এই উইন্ডোতে খেলবেন কি না, সেটি এখনো অনিশ্চিত। অনুশীলনের আগে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন,
“এটা ম্যানেজমেন্টের বিষয়। তারা দেখছে। দল প্রস্তুত রয়েছে নেপাল সফরের জন্য। হামজা না এলে সমস্যায় পড়ব না।”
তবে ভিন্ন সুর শোনা গেছে সিঙ্গাপুর ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা তপু বর্মণের কণ্ঠে। তিনি বলেন,
“আমাদের অনেক কিছুই শুরু হয় হামজাকে নিয়ে। যতটুকু জানি, সে আসার চেষ্টা করছে। যদি না আসতে পারে, আমাদের জন্য কষ্টের হবে। তবে সেটি মানিয়ে নিতে হবে।”
জাতীয় দলে ডাক পেলে ফিফা আইন অনুযায়ী ক্লাব বাধ্য থাকে ফুটবলার ছাড়তে। কিন্তু এবার সেই প্রক্রিয়া খানিক ধীর গতিতে চলছে। দলীয় ম্যানেজার আমের খান জানান,
“হামজার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবেও কথা হয়েছে। বিষয়টি এখনও সেই পর্যায়েই আছে। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।”
বাংলাদেশ দলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ৯ অক্টোবর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ। নেপালে দুটি ম্যাচ মূলত সেই প্রস্তুতির অংশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপাল নিয়ে তপু বলেন,
“নেপাল ও হংকংয়ের খেলার ধরন অনেকটা একই। দুই দলই লো ডিফেন্স ব্লক করে। তাই এই ম্যাচ আমাদের জন্য কাজে আসবে।”
৬ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। হাতে আছে মাত্র পাঁচ দিন। তবে তপু মনে করেন, সেটি যথেষ্ট সময়,
“আমরা অনেক দিন ধরেই এক সঙ্গে খেলছি। পাঁচ দিনের অনুশীলন যথেষ্ট হবে।”
তবে ভেন্যু নিয়ে কিছুটা শঙ্কা আছে তার। নেপালের দশরথ স্টেডিয়াম এএফসির প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ আয়োজনে অনুমোদন না পেলেও প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে বাধা নেই। তাই ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বরের দুই ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে।