সুরমা গেইটে শাহপরান পূর্ব থানা জামায়াতের পথসভা

জনগণ এখন জামায়াতকে
রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়
-----মাওলানা হাবিবুর রহমান
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, সিলেট জেলা আমীর ও সিলেট-১ (মহানগর ও সদর) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন- ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে জামায়াত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করছে। স্বাধীনতার পর থেকে অনেক দলই ক্ষমতায় গিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজী বন্ধ করতে পারেনি। এমনকি গণঅভ্যুত্থানের ফলে ক্ষমতায় থাকা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের আমলেও সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজী বন্ধ হয়নি। জনগণ এবার জামায়াতকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ তারা জানে দেশ থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধে জামায়াতের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। এদেশে আর কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে চাইলে জনগণ মেনে নিবেনা। জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিয়ে জামায়াত ঘোষিত ৫ দফা দাবী মেনে নিলে দেশে আর কোন দিন ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবেনা। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি সোমবার রাতে শহরতলীর সুরমা গেইট এলাকায় সিলেট মহানগরীর শাহপরান পূর্ব থানার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শাহপরান পূর্ব থানা সেক্রেটারী মাওলানা সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, শাহপরান পূর্ব থানা আমীর শামীম আহমদ, বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, থানা নায়েবে আমীর মাওলানা ফয়জুর রহমান, থানা সহকারী সেক্রেটারী মন্জুর রহমান ও শাহ মাহমুদুল হক প্রমূখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা সোলাইমান হোসেন, সেলিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহ সাদিক, মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ, হাফিজুর রহমান, আব্দুল আহাদ কুটন, সৈয়দ শাহ আলম ও সিরাজুল ইসলাম শুয়েব প্রমূখ।
সভায় শাহপরান পূর্ব থানার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের জনশক্তি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় সাধারণ জনতা অংশ নেন। সভায় নির্বাচনী প্রস্তুতি, প্রতিনিধিদের করণীয় ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
