সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির খান
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সিলেট বিভাগের রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আসন বর্তমানে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর, শান্তিগঞ্জ)। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন মিয়ার বাজার ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির খান।
বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ-এর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম আলোচনায় এলেও, এখনো তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেননি। তবুও স্থানীয় জনগণ, শিক্ষক সমাজ ও আলেম মহলে তাঁকে নিয়েই চলছে ব্যাপক আগ্রহ ও প্রত্যাশা। জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জের প্রতিটি গ্রাম, হাট-বাজারে এখন আলোচনার মূল বিষয়— “মাওলানা মুক্তাদির খান যদি প্রার্থী হন।”
স্থানীয় জনগণের মতে, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় অঙ্গনে তাঁর অবদান তাঁকে একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ ও জনবান্ধব মানুষ হিসেবে পরিচিত করেছে। তরুণ সমাজ থেকে শুরু করে প্রবীণরাও মনে করেন, এই আসনের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হলে এমন একজন শিক্ষিত, নির্ভীক ও নীতিবান ব্যক্তিরই প্রয়োজন, যার প্রতি সবার আস্থা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির খান প্রার্থী হন, তাহলে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচনী সমীকরণ পুরোপুরি বদলে যাবে। বর্তমানে তিনি শুধু একজন সম্ভাব্য প্রার্থী নন, বরং জনগণের ‘আকাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধি’ হিসেবেই পরিচিত হচ্ছেন।
অন্যদিকে, একই আসনে আঞ্জুমানে আল ইসলাহ-এর অপর সম্ভাব্য প্রার্থী হলিয়ারপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ড. মইনুল ইসলাম পারভেজও মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তবে জনপ্রিয়তা ও জনসংযোগের বিচারে মাওলানা মুক্তাদির খান বর্তমানে এগিয়ে আছেন বলেই মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা।
সিলেট বিভাগের অন্যান্য আসনেও আলোচনায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন আলেম ও শিক্ষা ব্যক্তিত্ব। তবে সবার নজর এখন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের দিকে— যেখানে জনগণের একটাই প্রত্যাশা,
“মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির খান-ই হোন এই আসনের প্রার্থী।”
রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, যদি আঞ্জুমানে আল ইসলাহ শেষ পর্যন্ত তাঁকেই মনোনয়ন দেয়, তাহলে এই আসনটি আগামী নির্বাচনে হয়ে উঠবে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও প্রভাবশালী কেন্দ্রগুলোর একটি।