নিয়মিত ফজর আদায় করতে ৬টি কৌশল মেনে চলুন

ভোরে এলার্ম বাজার পরও বারবার স্নুজ চাপেন? ভেবে নেন—“আর পাঁচ মিনিট”—এরপর বুঝতে পারেন সূর্য উঠেই গেছে, ফজরের সময় শেষ! এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই আছে। অথচ ফজরের নামাজ ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আল্লাহর রহমত ও বরকতের দরজা খুলে দেয়।
ফজরের জন্য জাগা এত কঠিন কেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ঘুমের সময় শয়তান মানুষের মাথার পেছনে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতিটি গিঁটে সে ফুঁ দিয়ে বলে, “রাত দীর্ঘ, ঘুমিয়ে থাকো।” কেউ যদি জেগে আল্লাহর প্রশংসা করে, একটি গিঁট খুলে যায়; অজু করলে দ্বিতীয়টি, আর নামাজ পড়লে সব গিঁট খুলে যায়। তখন সে সতেজভাবে জাগে। অন্যথায় অলস ও মনমরা হয়ে জাগে। (সহিহ বুখারি)
নিয়মিত ফজরে জাগতে ছয়টি টিপস
📌 ১. নিয়ত পরিষ্কার করুন
ফজরে ওঠার উদ্দেশ্য শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি—এটা মনে গেঁথে নিন। আখেরাতের জন্য কিছুটা ঘুম ত্যাগ করাই আসল পরীক্ষা।
📌 ২. ফজরের ফজিলত স্মরণ করুন
রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ফজর ও আসর পড়বে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (বুখারি)
আরও বর্ণনা আছে, “ফজরের নামাজ আদায়কারী আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকবে।” (মুসলিম)
ঘুমানোর আগে এসব হাদিস স্মরণ করুন।
📌 ৩. দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিন
ঘুমের আগে মনে স্থির করুন—আমি ফজরের জন্য উঠব। দৃঢ় মনোভাব কাজকে সহজ করে তোলে।
📌 ৪. আল্লাহর সাহায্য চান
ঘুমানোর আগে আন্তরিকভাবে দোয়া করুন, আল্লাহ যেন আপনাকে সময়মতো জাগিয়ে দেন। এলার্মের চেয়েও এটি বেশি কার্যকর।
📌 ৫. স্নুজ বন্ধ করুন
মোবাইলের স্নুজ ফাংশন ব্যবহার বন্ধ করুন। প্রথম এলার্মের পরই উঠার প্রবণতা তৈরি হবে।
📌 ৬. তাড়াতাড়ি ঘুমান
রাতে অযথা জেগে থাকার বদলে এশার পর দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ুন। তাড়াতাড়ি ঘুমালে সহজেই ফজরের জন্য উঠা সম্ভব।
শেষ কথা
ফ্লাইট ধরতে বা গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারভিউর জন্য আমরা রাতেই প্রস্তুতি নিই, দুশ্চিন্তায় থাকি। কিন্তু ফজরের জন্য তা করি না—কারণ আমরা দুনিয়াকে আখেরাতের চেয়ে অগ্রাধিকার দেই। তাই নিজেকে প্রশ্ন করুন— “আমার দুনিয়ার কাজ কি আল্লাহর হকের চেয়ে বড়?”
এই প্রশ্নই আপনাকে ফজরে জাগতে অনুপ্রাণিত করবে।
📌 সূত্র : অ্যাবাউট ইসলাম